নিজস্ব প্রতিবেদক,
রাজধানীর মোহাম্মদপুর থানাধীন নুরজাহান রোড এলাকা হতে অস্ত্রধারী সন্ত্রাসী মোঃ মারুফ হাসান (২২) ও মোঃ আব্দুর রহমান সিয়াম (২১)’কে ০১ টি পিস্তল, ০১ টি ম্যাগাজিন এবং ০৪ রাউন্ড গুলিসহ গ্রেফতার করেছে র্যাব-
র্যাপিড এ্যাকশন ব্যাটালিয়ন, র্যাব প্রতিষ্ঠালগ্ন হতে বিভিন্ন ধরণের অপরাধ নির্মূলের লক্ষ্যে অত্যন্ত আন্তরিকতা ও নিষ্ঠার সাথে কাজ করে আসছে। সন্ত্রাস-জঙ্গিবাদ নির্মূল ও মাদকবিরোধী অভিযানের পাশাপাশি খুন, চাঁদাবাজি, চুরি, ডাকাতি ও ছিনতাই চক্রের সাথে জড়িত বিভিন্ন সংঘবদ্ধ ও সক্রিয় সন্ত্রাসী বাহিনীর সদস্যদের গ্রেফতার করে সাধারণ জনগণের শান্তিপূর্ণ পরিবেশ বিনির্মাণের লক্ষ্যে র্যাবের জোড়ালো তৎপরতা অব্যাহত আছে। এছাড়াও বিভিন্ন অস্ত্রধারী সন্ত্রাসীসহ অন্যান্য অপরাধীদের দ্রুত গ্রেফতার করে দেশের সর্বস্তরের মানুষের কাছে সুনাম অর্জন করতে সক্ষম হয়েছে।
এরই ধারাবাহিকতায় গত ০৮ এপ্রিল ২০২৫ তারিখ রাত ২৩১০ ঘটিকার সময় রাজধানীর মোহাম্মদপুর থানাধীন নুরজাহান রোডের কোরেশী কাবাব এন্ড রেস্টুরেন্টের ভিতরে অভিযান পরিচালনা করে দুইজন অবৈধ অস্ত্রধারী সন্ত্রাসী ১। মোঃ মারুফ হাসান (২২) পিতা-মোঃ মিজানুর রহমান, মাতা-হালিমা আক্তার, সাং-দক্ষিণ চরপাতা (চাকলাদার বাড়ি), পোঃ মেদুয়া, থানা-ভোলা সদর, জেলা-ভোলা এবং ২। মোঃ আব্দুর রহমান সিয়াম (২১), পিতা-মোঃ আমজাদ হোসেন, মাতা-কামরুন নাহার, সাং-হোল্ডিং-২৪২, কুট্টি কমিশনার সড়ক, কুতুবা পোঃ বোরহান উদ্দিন, থানা- বোরহান উদ্দিন, জেলা-ভোলা’দ্বয়কে ০১ টি পিস্তল, ০১ টি ম্যাগাজিন, ০৪ রাউন্ড তাজা গুলিসহ গ্রেফতার করেছে র্যাপিড এ্যাকশন ব্যাটালিয়ন-৩।
উল্লেখ্য যে, ধৃত আসামিদ্বয় পূর্ব থেকেই রাজধানীর মোহাম্মদপুর থানাধীন নুরজাহান রোডের কোরেশী কাবাব এন্ড রেস্টুরেন্টের ভিতরে অবস্থান করছিল। গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে র্যাব-৩ এর একটি আভিযানিক দল উক্ত হোটেলের সামনে পৌছালে ধৃত আসামিদ্বয় কৌশলে পালানোর চেষ্টাকালে তাদেরকে সঙ্গীয় অফিসার ফোর্সের সহায়তায় আটক করা হয়। জিঙ্গাসাবাদের এক পর্যায়ে তাদের কথা বার্তা সন্দেহজনক হওয়ায় উপস্থিত লোকজনের সম্মুখে তাদের দেহ তল্লাশি করে ০১ টি পিস্তল, ০১ টি ম্যাগাজিন, ০৪ রাউন্ড তাজা গুলি উদ্ধার করা হয়।
ধৃত আসামিদ্বয় লোকজনের সম্মুখে জিজ্ঞাসাবাদে জানায় যে, তারা পরস্পর উদ্ধারকৃত অস্ত্র ও গুলি নিজ হেফাজতে রেখে এলাকায় বিভিন্ন ধরনের অপরাধ জনক কর্মকান্ড করে আসছে এবং উদ্ধারকৃত অস্ত্র ও গুলির বৈধ কোন কাগজপত্র তারা উপস্থাপন করতে পারে নাই। ধৃত আসামীদ্বয় পরস্পর জ্ঞাত সারে উদ্ধারকৃত অস্ত্র ও গুলি অবৈধভাবে নিজ হেফাজতে রেখে The Arms Act, 1878 এর 19A ধারায় অপরাধ করেছে।
ধৃত আসামিদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন।